সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের দিন সবার কাছে একটি আনন্দের দিন, তা গরিব কিংবা ধনী সবার কাছেই এই দিনটি অত্যন্ত আনন্দের। এই আনন্দকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে নতুন পোশাক। আর তাই ঈদের আগমুহূর্তে সুপার মার্কেট, বিপণী বিতানগুলোতে লেগে থাকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
ঈদ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও শহরে সুপার মার্কেট, বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত সকলেই ছুটছেন প্রিয় পোশাকটি কেনার জন্য। শহরের চৌরাস্তা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের উচ্ছ্বাস, আনন্দের কথা।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকেল উপজেলায় আজ বস্ত্র বিতান গুলো ঘুরে দেখা যায়, ঈদের পোশাক কিনতে আসা জীবন জানান, ঈদের আর মাত্র নয় দিন বাকি, তাই পরিবারের সকলের জন্য ঈদের শপিং করতে একটু সময় দিতেই হয়। আর তাই মার্কেটে আসা।
দোকানীরা জানান, মাঝ রজমান থেকে ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক বেড়েছে। বিকেলের পর থেকে দোকানে তিল ধারণের ঠাঁই থাকেনা। আগের বারের তুলনায় বেচাকেনাও অনেক বেশি।
অন্যদিকে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্ন আয়ের মানুষেরাও পিছিয়ে নেই ঈদের কেনাকাটায়। উচ্চ আয়ের মানুষদের মতো বিভিন্ন নামিদামি মার্কেট থেকে ঈদের কাপড়সহ ঈদ সামগ্রী ক্রয় করতে না পারলেও এই গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর একমাত্র ভরসা হকার্স মার্কেট, কাচারি বাজার কিংবা ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকানগুলো।
রানীশংকৈলে বিপুল বস্ত্র বিতানের মালিক বিপুল জানান, বর্তমানে ঈদ কেনাকাটায় দৈনিক প্রায় লক্ষাধিক টাকা কেনা বেচা হয়।
এগুলো মূলত গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য। তবে এখন সব ধরনের লোকজন এসব মার্কেটে কাপড় ক্রয় করছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে এসব দোকানের বিক্রেতারাও এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব দোকানে ঈদের শাড়ি ও লুঙ্গি, বাচ্চাদের কাপড়, পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট বিক্রি হয়। আর রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে বিক্রি হয় আতর, টুপি।
তবে ক্রেতারা জানান, সামনে ঈদকে সামনে রেখে কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি মনে হচ্ছে।